To control azma in winter season

অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ, যা সাধারণত হাঁপানি নামে সুপরিচিত। এটি মূলত শ্বাসনালীর অতি সংবেদনশীলতার (Hypersensitivity) কারণে হয়। এতে আমাদের শ্বাসনালীর স্বাভাবিক ব্যাস কমে গিয়ে আগের চেয়ে সরু হয়ে যায়। ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ু যাওয়া-আসা করতে পারে না এবং দেহে অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হয়।
অ্যাজমায় আক্রান্ত হলে যা হয়- ১. শ্বাসকষ্ট ২. সাঁ, সাঁ শব্দে কষ্টসহকারে শ্বাস নেওয়া ৩. বুকে চাপ ধরা বা দমবন্ধভাব অনুভব করা ৪. বুকে ব্যথা ৫. শুকনো কাশি।
সাধারণত, অ্যাজমা প্রতিকারের তেমন কোনো উপায় নেই। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।











এখন চলছে শীত মৌসুম। এ সময়ে এটি একটি সাধারণ রোগ। ছোট বড় অনেকের মধ্যেই এটি দেখা যায়। কষ্টেরও শেষ থাকে না।

শীত মৌসুমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে মেনে চলুন এই পাঁচটি পরামর্শ।
ধুলা: অ্যাজমার ভীষণ শত্রু এটি। তাই পারতপক্ষে চেষ্টা করতে হবে তা এড়িয়ে চলার। চেষ্টা করতে হবে সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্মল পরিবেশে চলাফেরা করার। যতোটুকু পারা যায়, থাকা-শোবার ঘরটি রাখতে হবে ধুলাবালি মুক্ত।
ফুলের ঘ্রাণ:  ফুলের ঘ্রাণ কে না পছন্দ করে। অনেকে এর সুমিষ্ট ঘ্রাণে পাগলপারা হয়ে যায়। সকাল-বিকেল এর নির্মল ঘ্রাণে মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তবুও শীত মৌসুমে এর ঘ্রাণ আপনার-আমার জন্য সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাজমাজনিত সমস্যা থাকলে। তাই ফুলের ঘ্রাণ ও বাড়ন্ত গাছের পাতার গন্ধ যতটুকু পারা যায় এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান: এটি এড়াতে পারলে শুধু অ্যাজমা নয়, শীত মৌসুমে আরও অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধূমপান পরিহারে কাশিকে বাই বাই বলা যায়। শিশুর শারীরিক সুস্থ্যতার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম: অনেকেই জানেন না নিয়মিত ব্যায়ামে অ্যাজমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই এ মৌসুমে যতটুকু সম্ভব ব্যায়ামের ওপর জোর দিতে হবে।
অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা পরিবেশ: শীত মৌসুমে আমরা অনেক সময় ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে এসি বাড়িয়ে দিই। তবে অ্যাজমা রোগীদের জন্য এটি মোটেই সুখকর নয়। আবার অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে উষ্ণতার জন্য বেশি গরম কাপড়চোপড় পরি। এতে দেখা যায়, অল্পক্ষণে শরীর গরমে ঘেমে যায়। ফলে গায়ের জামাকাপড় খুলে ফেলি। এটিও অ্যাজমা রোগীদের জন্য ভাল নয়। এসবে হিতে-বিপরীত ঘটে। তাই যতদূর সম্ভব এ থেকে দূরে থাকুন।

Comments

Popular posts from this blog

Benefits of eating kakrol

গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ের ৩ ঘরোয়া