Natural benefit









The below Leaves Helps us to cure many critical unknown diseases. news collection from amar sangbad
তেলাকুচা একপ্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে চারপাশে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে একে কুচিলা', তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ফল ব্যবহৃত হয়।


চাষাবাদের ধরণ : শিকড় সহ লতা এনে রোপন করলে অতি সহজেই তেলাকুচা গাছ জন্মে। এর বীজ থেকেও চারা তৈরি করা যায়। দুই থেকে আড়াই ফুট দুরত্বে বাণিজ্যিক চাষাবাদ করা যায়। বেলে বা দোঁআশ মাটিতে ভাল চাষ হয়। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে বৃষ্টি হলে তেলাকুচার বীজ বপন করতে হয়। বীজ তলার মাটি আগে ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে থাকে।


উদ্ভিদের ধরণ : এটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কাণ্ড থেকে আকশীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে উপরে উঠে। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়, পাতা লতার রং সবুজ। এর ফল কচি ডগা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেখানে। তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে।


পুষ্টি : তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে।


রোপনের সময় : তেলাকুচা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। সাধারণত চৈত্র- বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপন করতে হয়।পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীস্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে।


ঔষধি গুণাগুণ : তেলাকুচা ফলে আছে 'মাস্ট সেল স্টেবিলাইজিং', 'এনাফাইলেকটিক-রোধী' এবং 'এন্টিহিস্টামিন' জাতীয় উপাদান। কবিরাজী চিকিত্সায় তেলাকুচা বেশ কিছু রোগে ব্যবহৃত হয়, যেমন- কুষ্ঠ, জ্বর, ডায়াবেটিস, শোথ (edema), হাঁপানি, ব্রংকাইটিস জন্ডিস।


ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড সমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়। পাতা ভেজেও খেতে পারেন।


জন্ডিস : জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে।


পা ফোলা রোগে : গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল পাতা ছেঁচে এর রস - চা চামচ প্রতিদিন সকালে বিকালে খেতে হবে।


শ্বাসকষ্ট : বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল পাতার রস হালকা গরম করে - চা চামচ পরিমাণ ৩থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে বিকালে খেতে হবে।


কাশি : শ্লেস্মাকাশি হলে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে - চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে থেকে দিন প্রতিদিন সকালে বিকালে খেতে হবে।


শ্লেম্মাজ্বর : শ্লেষ্মাজ্বর হলে - চা চামচ তেলাকুচার মূল পাতার রস হালকা গরম করে - দিন সকাল- বিকাল খেতে হবে। ক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতার পাটায় বেটে রস করতে হবে।


স্তনে দুধ স্বল্পতা : সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তেলাকচুর ফল একটু তিতে হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল সপ্তাহ খেতে হবে। মা হলেও স্তনে দুধ নেই। এদিকে শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কাঁচা সবুজ তেলাকুচার ফলের রস একটু গরম করে ছেঁকে তা থেকে এক চা চামচ রস নিয়ে / ফোঁটা মধু মিশিয়ে সকালে বিকালে বার খেলে / দিনের মধ্যে স্তনে দুধ আসবে। ফোঁড়া


ব্রণ : ফোড়া বা ব্রণ হলে তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার করতে হবে।
আমাশয়:- প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল পাতার রস - চা চামচ থেকে দিন প্রতিদিন সকালে বিকালে খেতে হবে।


অরুচিতে : সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।


 



Comments

Popular posts from this blog

Benefits of Rain water for your hair and skin

Benefits of eating kakrol

Benefit of walking on bare foot